দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ সিরিজ জয়ের। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জয় এসেছিল। ২য় ম্যাচেও একেবারেই মন্দ করেনি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। তবে ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল বড় ব্যবধানে। তৃতীয় ওয়ানডেতে দুই দলের সামনেই সুযোগ সিরিজ জয়ের। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই দেখা মিলল মলিন বাংলাদেশের।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা উলভার্ট। বড় রানের লক্ষ্য এড়ানোর জন্য আগে ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের জন্য। ভাগ্যটা টসে সহায় হয়নি। সেটার মাশুলই বাংলাদেশ দিয়ে গেল পুরোটা ম্যাচে। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে প্রোটিয়া মেয়েদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩১৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার লরা উলভার্ট আর তাজমিন ব্রিটসের দুই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিই বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়েছে রানের পাহাড়।
বেনোনি উইলোমোর পার্ক স্টেডিয়ামে পিচ ছিল একেবারেই ব্যাটিং উপযোগী। পিচে যেমন ছিল না ঘাস, তেমনি ছিল না ফাটল। স্পিন নির্ভর বাংলাদেশের জন্য তাই শুরুটাই হয়ে যায় যথেষ্ট কঠিন। শুরুর দিকে বাজে ফিল্ডিং সেই হতাশা বাড়িয়েছে আরও বেশি।
প্রথম ৫ ওভার খানিক ধীরে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে উলভার্ট-ব্রিটস জুটি। পাওয়ারপ্লের পর আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশকে কোনো সুযোগই দেননি এই দুই ব্যাটার। ১৯ ওভারের মাঝে ১০০ আর ৩০ ওভারের মাঝে আসে দুইশ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনেই। টাইগ্রেস দলপতি জ্যোতি উইকেটের আশায় একে একে ব্যবহার করেছেন ৭ বোলার। কিন্তু কেউই দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু।
বাংলাদেশ প্রথম সফলতা পায় ইনিংসের ৪৩তম ওভারে। লরা উলভার্টকে বোল্ড করেন মারুফা আক্তার। ততক্ষণে লরার সংগ্রহ ১২৬। স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৪৩ রান। টিকতে পারেননি ব্রিটসও। ১১৮ রান করে দলীয় ২৫১ রানে রিতু মনির বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। অ্যানিকি বসের সঙ্গে এরপর দ্রুত রান তোলেন শুন লুস। এই জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ২৯৮ রানে লুসকে ফেরান রাবেয়া। পরের বলেই আবারও ফেরান নাদিন ডি ক্লার্ককে।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৩১৬ পর্যন্ত তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের পক্ষে এদিন সেরা বোলার ছিলেন রাবেয়া। ১০ ওভারে ৪৯ রানের খরচায় পেয়েছিলেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট মারুফা এবং রিতুর।