ভারতে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭ শতাধিক মানুষ সংক্রামক এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন ৬ জন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজার। বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে একদিনে ৭০২ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭ জনে।
ভারতীয় এই মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে নতুন করে ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন দুজন। আর কর্ণাটক, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে মারা গেছেন একজন করে।
আর বুধবার ভারতে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে দুইজন কর্ণাটক এবং একজন গুজরাটের বাসিন্দা।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ভারতে ৭৫২ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল। অবশ্য ভারতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা দুই-অংকের ঘরেই ছিল। কিন্তু সংক্রামক এই ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে সংক্রমণ আবারও বেড়েছে।
এদিকে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেইনের যে উপধরন নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে, সেই জেএন.১ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভারতেও বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে ভারতের আটটি রাজ্যে জেএন.১ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর এ উপধরনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৯ জন।
জেএন.১ আক্রান্ত ১০৯ জনের মধ্যে ৩৬ জন গুজরাটের, ৩৪ জন কর্ণাটকের, ১৪ জন গোয়ার, নয়জন মহারাষ্ট্রের, ছয়জন কেরালার, চারজন রাজস্থানের, চারজন তামিলনাড়ুর এবং দুইজন তেলেঙ্গানার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, করোনার নতুন এই উপধরনটি শনাক্ত হয় গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায়। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জেএন.১-এর সন্ধান মিলেছে। চীনেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতের কেরালায় জেএন.১ আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তার পর অন্য রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে এই উপধরন।
অবশ্য করোনার নতুন এই উপধরন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি বর্তমানে কম এবং বর্তমান ভ্যাকসিনগুলো সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
এনডিটিভি বলছে, ভারতে এখন পর্যন্ত ২২০.৬৭ কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।