আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
alo

চেক প্রজাতন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, নিহত ১৫

Public Voice

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:১১ এএম

alo
alo

ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। তাছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৫ জন। নিহতদের মধ্যে হামলাকারী ও তার বাবাও রয়েছেন।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির রাজধানী প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটিতে ভয়াবহ এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।


এর আগে দেশটিতে একক বন্দুকধারীর হামলায় এত হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাই এটিকে আধুনিক চেক প্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পিতর পাভেল।


দেশটির পুলিশ প্রধান মার্টিন ভন্ড্রাসেক জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় ব্যাপক অভিযান। পরে ইউনিভার্সিটির ভেতরে অস্ত্রের একটি বড় মজুত আবিষ্কার করে পুলিশ। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বন্দুকধারীর হোস্টউন এলাকার বাড়ি থেকে তার বাবাকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।


হামলাকারী চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বাইরে থেকে প্রাগে এসেছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলা থেকে গুলিবর্ষণ শুরু করেন।


পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী সম্ভবত ওই ১৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। তবে তিনি পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী ওই শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী ছিলেন ও তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি এমন কাজ করেছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।


পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেয়েছে যে রাশিয়ার একটি সন্ত্রাসী হামলায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওই শিক্ষার্থী এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশ প্রধান ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শিক্ষার্থীর কাছে বেশ কয়েকটি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। যার শুরুটা হয়েছিল ক্লাদনো অঞ্চলে ও শেষ হয়েছে প্রাগে।


এদিকে, এ ঘটনার পরে এর আগে ঘটে যাওয়া আরেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য এই শিক্ষার্থীকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। পুলিশ প্রধান ভন্ড্রাসেক জানান, সপ্তাহ খানিক আগে প্রাগের বাইরের একটি অঞ্চলে এক নারী ও তার দুই মাস বয়সী সন্তানকে একটি জঙ্গলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় একই শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।


সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান, রয়টার্স

alo
alo