বয়সটা এখনো ১৮ হয়নি। অথচ ইতোমধ্যেই এন্ড্রিকের সঙ্গে চুক্তি করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় এখনই রিয়ালে খেলতে পারবেন না। এত অল্প বয়সেই এত দূর আসার পেছনে আছে এক সাহসী কিশোরের গল্প। যার স্বপ্ন কিংবা বাস্তবতা আপনি যাই বলুন না কেন সবটা জুড়েই ছিল ফুটবল। ইচ্ছা আর সাহসই তাকে নিয়ে এসেছে সাফল্যের কাছাকাছি।
এন্ড্রিকের জন্ম ব্রাসিলিয়ায়। তবে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছোটবেলায়ই পাড়ি জমান সাও পাওলোতে। সেখান থেকে সুযোগ মেলে পালমেইরাসের হয়ে খেলার। আর পরের গল্পটা আরো রোমাঞ্চের। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই নাম লিখিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এন্ড্রিক বলেন, 'যখন আমি খুবই ছোট, আমাকে প্রমাণ করতে হতো যে আমি কাউকে ভয় পাই না। এর সবকিছুই শুরু হয়েছিল খুবই ছেলেবেলায়। আমি শুধু ফুটবল খেলতে চাইতাম। এই বিষয়ে নিজের কাছে আমি খুব পরিষ্কার ছিলাম আর ফুটবলার হতে হলে কাউকে বা কোনো কিছুতে ভয় পেলে চলবে না। সেটাই আমি করেছি, খুব ছোট বেলা থেকেই করেছি।'
রিয়ালে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে এন্ড্রিক বলেন, 'রিয়ালের হয়ে খেলা অনেক দায়িত্বের, অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই জার্সি পরে খেলতে এবং সমর্থকদের সঙ্গে সবকিছু উপভোগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। রিয়াল মাদ্রিদের অংশ হওয়ার স্বপ্ন আমি ছেলেবেলা থেকে দেখেছি। জানি, এখনও আমার সামনে পালমেইরাসের হয়ে খেলার চ্যালেঞ্জটুকু রয়েছে এবং আমি সেটা পূরণের চেষ্টা করব; কমপক্ষে তাদেরকে শীর্ষে রাখতে সাহায্য করব। তবে হ্যাঁ, আমি অবশ্যই এরই মধ্যে রিয়ালকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি।'
'তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল আমার। আপনাদের মনে থাকতে পারে -আমাদের তিন জনের বাইক ট্রেনিংয়ের ছবিটা? তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, ছুটি কাটাতে যাচ্ছি কি-না…(রিয়ালে) প্রতিদিনের ঘটনা, কাজকর্ম সম্পর্কে তারা আমাকে অনেক কিছু বলত, এই সবকিছুর গুরুত্ব, সবদিক থেকে এই ক্লাবের বিশালতা…সঙ্গে এটাও বলতো, রিয়ালে যাওয়ার পর আমি উপলব্ধি করতে পারব বিষয়গুলো।'-আরো যোগ করেন এন্ড্রিক।
কটু/বি