২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফুটবল কিংবদন্তি পেল। ফুটবল মহানায়কের মৃত্যুর পর ব্রাজিলিয়ান এক নারী নিজেকে পেলের কন্যা দাবি করেছিলেন। কিন্তু ডিএনএ টেস্টের পর জানা গিয়েছে ওই নারী তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের সন্তান নন। অর্থাৎ ডিএনএ টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমনটায় জানিয়েছেন পেলের ছেলে এদিনিও যিনি (এদসন চোলবি দো নাসিমেন্তো) নামে পরিচিত।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে ৩টি বিয়ে করেছিলেন। মৃত্যুর আগে সাত সন্তান রেখে গেছেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের ছেলে এদিনিও বাবার মতো ফুটবলার ছিলেন। তবে বাবার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিলেন এদিনিও। পেলে ফরোয়ার্ড ছিলেন আর এদিনিও ছিলেন সান্তোসের গোলকিপার।
পেলের কন্যা সন্তানের দাবি করার বিষয়ে এদিনিও এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে (ডিএনএ) পরীক্ষা করিয়েছি। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তিনি আমাদের বোন নয়। সে ও আমি মিলে পরীক্ষাগারে এই পরীক্ষা করিয়েছি। তাছাড়া তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, সেটা নিশ্চিত হয়েছি।’
নিজেকে পেলের কন্যা দাবি করা নারীর পরিচয় জানা যায়নি। ব্রাজিলিয়ান তারকার মৃত্যুর পর তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন। পেলের স্ত্রীর আইনজীবী লুইজ কিগনেল এএফপিকে জানিয়েছিলেন, পেলের আরেকটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যিনি কিংবদন্তির সম্পত্তির ৭০ শতাংশ অংশ পাবেন।
দুই মাস আগে পেলের কন্যা দাবি করা মেয়ের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে সেই নারী পেলের সন্তান নন। ৫৩ বছর বয়সী এদিনিও বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। মৃত্যুর আগে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন পেলে।