রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) অফিসে মাদকসেবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম ও গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা যায়, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যারপর গোদাগাড়ী পৌরসদরের বিএনএম অফিসে বেশকিছু মাদকসেবী গিয়ে জড়ো হয়। তারা মদসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে ছিলো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে পুলিশ ও ইউএনও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয়রা জানায়, রাজশাহী- ১ আসনের বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু হঠাৎ করে গোদাগাড়ী সততা হাসপাতালে পাশে অফিস করে। এখানে তার পক্ষে জনসমর্থন ঘটাতে টাকার বিনিময়ে কিছু লোকজনের সমাগম ঘটায়। এদের মধ্যে এলাকার চিহ্নিত বেশকিছু বখাটে ও মাদকসেবী আছে। তারা দিনভর তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা করে থাকে। বুধবার বিএনএম প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা না পাওয়ায় কয়েকজন টাকা-পয়সা নিয়ে হট্টগোল শুরু করে। এই সময় বিএনএম প্রার্থী অফিসে ছিলেন না। এই হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই সাথে এমন পরিস্থিতি যাতে আর না ঘটে এই মর্মে সহকারী রির্টানিং অফিসার একজনের কাচে মুচলেকা নিয়ে ছাড় দেয়। এবিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, বিএনএম অফিসে হট্টোগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। বিএনএম প্রার্থী কিছু লোকজনকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা করে দিয়ে দিনভর খাটিয়ে নেয়। আজ টাকা দিতে দেরী হওয়ায় তারা নিজেদের মধ্যে হট্টগোল শুরু করে। এই ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বিএনএম অফিসের ম্যানেজার মুনিকে এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে এমন সাবধান করে দিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছাড় দেয় বলে জানান। এবিষয়ে সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, হট্টগোলের খবর শুনে আমরা সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারা মাদকসেবী একজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে তার নাম জানতে চাইলে ইউএনও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলে মুচলেকার বিষয়টি আমার জানানেই ওসি সাহেব বলতে পারবে। ওসি সাহেবই আপনার বরারদিয়ে মুচলেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমনটা বলা হলে ইউএনও দ্রুত ফোনকলটি কেটে দেন।