৪৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মাগুরার এম এম তারিক উল্লাহ শোভন। তিনি মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের ছোট কলমধারী গ্রামের অধ্যক্ষ মো. মৈমূর আলী মৃধার ছেলে। মা মোছা. হোসনেয়ারা পারভীন উপজেলা সদরের গোপালনগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে।
জানা যায়, এম এম তারিক উল্লাহ শোভন ছোট বেলা থেকেই অত্যান্ত মেধাবী। মহম্মদপুর সদরের সরকারি আর.এস. কে.এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার পর ঢাকার নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়। নটরডেম থেকেও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পায়। পরে শোভন গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শোভন বলেন, ‘আমার পরিবারের স্বপ্ন ছিল আমি বিসিএস ক্যাডার হবো। বিসিএসে প্রথম পছন্দ ছিল পুলিশ ক্যাডার। আমি পুলিশ অফিসার হয়ে দেশের সেবা করতে চাই।’
গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে ৪৩তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে তারিক উল্লাহ শোভন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে।
পিএসসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে ও ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারসহ মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জন পুলিশ ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। তাদের মধ্যে সবার উপরে এম এম তারিক উল্লাহ শোভন।
গত বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী। এ বছরের ২০ আগস্ট ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। গত মাসে এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া শেষ করে তারা। গত বছরের জুলাইয়ে পিএসসি এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছিল।
শোভনের বাবা অধ্যক্ষ মো. মৈমূর আলী মৃধা সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে জানান, শোভন যেন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে দেশ ও দেশের অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে এটাই আমাদের চাওয়া পাওয়া।