পাকিস্তানের গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো হিন্দু নারী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন; সেই প্রার্থীর নাম সাবিরা পারকাশ।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে পাকিস্তানে। সেই নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গত ২৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের জেলার ২৫ নম্বর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবিরা পারকাশ, যিনি ২০২২ সালে অ্যাবোটাবাদ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
বুনের জেলার স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং কওমি ওয়াতান পার্টির নেতা সেলিম খান পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনকে জানিয়েছেন, কেবল প্রথম হিন্দু নারী প্রার্থী নয়, নিজ আসন বুনের জেলার প্রথম নারী প্রার্থীও সাবিরা। এর আগে কোনো নির্বাচনে নারী প্রার্থী দেখেনি বুনের জেলার বাসিন্দারা।
সাবিরা পারকাশের বাবা ওম পারকাশও পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎক এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি খাইবার পাখতুনখোয়া শাখার নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক সংগঠক। সাবিরা নিজে পিপিপির বুনের জেলা শাখার নারী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক।
ডনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবিরা জানিয়েছেন, তার জীবনে তার বাবা ওম পারকাশের প্রভাব ব্যাপক। মূলত বাবার উৎসাহ- অনুপ্রেরণাতেই চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি নেওয়া ও রাজনীতিতে আগমন ঘটেছে তার।
নির্বাচনে জয়ের আশা করছেন সাবিরা। নির্বাচিত হলে বুনের জেলার স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও উন্নত করতে মনযোগী হবেন বলেও ডনকে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সামাজিক যেগাাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে সাবিরার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। বুনের জেলার একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইমরান নোশাদ খান সোমবার জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে তিনি এবং তার অনুসারী-বন্ধুরা সাবিরা পারকাশের পক্ষে ভোট চাইবেন।