নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমকে একটি নির্বাচনী সভা চলাকালে মঞ্চের কাছে এসে জুতা দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ মামলায় অভিযুক্ত আলাউদ্দিনকে (৩৬) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাহার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে বৈঠক করে করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় আসামি আলাউদ্দিন ধারালো অস্ত্র নিয়ে পথসভার মঞ্চে হামলা করে। এতে মোরশেদ আলমসহ বাদী আনোয়ার হোসেন আহত হন। মামলায় কারাগারে পাঠানো আলাউদ্দিন ছাড়াও নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের ছোট ভাই আনিছুর রহমান ও সাবেক পৌর মেয়র আবু জাফর টিপুসহ তার ১১ জন সমর্থককে আসামি করা হয়েছে।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু জাফর মামলার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচনের সময় তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। যাতে কোনো পক্ষ অহেতুক হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। আমরা মামলার প্রধান আসামিকে আদালতে সোপর্দ করেছি। তারপর বিচারকের নির্দেশে আসামি আলাউদ্দিনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, কে বা কারা, কেন এমপিকে আক্রমণ করেছেন জানি না। কিন্তু তিনি আমার ভাইসহ ১১ জন সমর্থককে আসামি করে মামলা দিয়েছেন। ভোটের মাঠে আমার লোকজনকে হয়রানি করাই এর উদ্দেশ্য। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের দমদমা বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমকে একটি নির্বাচনী সভা চলাকালে মঞ্চের কাছে এসে জুতা দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন আলাউদ্দিন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটক আলাউদ্দিন সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মো. মোস্তফার ছেলে।
এদিকে এ ঘটনার ভিডিও অল্প সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, নির্বাচনী সভার সঞ্চালক একজন বক্তার নাম ঘোষণা করে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেওয়ার সময় ওই ব্যক্তি জুতা হাতে নিয়ে মঞ্চে বসা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোরশেদ আলমকে লক্ষ্য করে আঘাতের চেষ্টা করেন। তবে আঘাতটি সভার সঞ্চালকের হাতে লাগে। তাৎক্ষণিক নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।