কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার পতিত জমিতে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি উৎপাদন ও বাজরে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
জানা যায়, শসা সাধারণত গরমের সময় বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। কিছু উন্নত জাতের শসার বীজ রয়েছে যা রোপনের ৩০-৩৫ দিনেই গাছে ফল ধরা শুরু করে। বিঘাপ্রতি কৃষকের ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। উৎপাদিত শসা ২০-২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারেন। লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা জমি পতিত ফেলে না রেখে তাতে শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলার বাতুপাড়া ও গোমকোট গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেক চাষি শসা গাছ থেকে শসা সংগ্রহ করছেন। আবার অনেকে সংগ্রহকৃত শসা বস্তায় ভরে রাখছেন। ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী চাঁদপুর ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে আসা পাইকারদের কাছে শসা বিক্রি করছেন। চাষিরা পাইকারদের কাছে প্রতিমণ শসা ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
গোমকোট গ্রামের শসা চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি এবছর ৩০ শতক জমিতে শসার আবাদ করেছি। শসা চাষে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় বেশি ফলন হয়েছে। আর বাজারে শসার দামও ভালো। আশা করছি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পারবো।
গোমকোট গ্রামের দুদু মিয়া ও করিম মিয়া বলেন, তারা একত্রে দুই বিঘা জমিতে শসার আবাদ করেন। প্রথমদিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় বীজ থেকে চারা কম উঠে। তারপর চারা লাগাই। শসা চাষে আমাদের প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিগত ১৫ দিন ধরে শসা বিক্রি করছি। এভাবে আরো ৭-৮ বার শসা কেটে বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি সব শসা বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবো।
শসা চাষি কামরুল হোসেন বলেন, আমি আমার ৬০ শতক জমিতে শসার চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ আমাদের জমি নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। যা খরচ হয়েছে তা উঠে এখন লাভ আছি। জমিতে যা শসা আছে আরো ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।
পৌর সদর ব্লক উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জুনায়েদ হোসেন বলেন, এই অঞ্চল শসার বিচরণ ভূমি। আমরা কৃষকদের পারামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক বাজারে শসার ভালো দাম পাচ্ছেন। শসার সঠিকভাবে চাষ করার জন্য চাষিদের সহযোগীতা করছি।