আসন্ন বড়দিন উপলক্ষ্যে ওই চার শিশুর বাবা বাইরে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন। আর সেসময় বাড়িতে আগুন লেগে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহত এই শিশুদের চারজনই আপন ভাই-বোন। নিহত অন্যজনও শিশু এবং সে তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বাবা আসন্ন ক্রিসমাস উৎসবের কেনাকাটা করার সময় তার চার শিশু সন্তান এবং একজন অল্পবয়সী আত্মীয় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের বাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় দোতলা ওই বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে কর্তৃপক্ষ সোমবার জানায়। এই ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলেও জানানো হয়। বিবিসি বলছে, আগুনে পুড়ে প্রাণ হারানো ওই চার শিশুর বয়স যথাক্রমে ২, ৪, ৫ এবং ১৩। তারা একে অপরের ভাইবোন ছিল। আর নিহত অন্য শিশুর বয়স ১১ বছর। সে ওই শিশুদের আত্মীয় এবং তাদের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। কর্মকর্তারা আগুনের ঘটনার তদন্ত করছেন এবং নিহত সন্তান বা তাদের বাবার নাম প্রকাশ করেননি। গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচাটার আগে লাস ভেগাস থেকে ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার) দক্ষিণে অবস্থিত বুলহেড সিটিতে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে। বুলহেড সিটি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিহত ওই সন্তানের বাবা তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছেন, তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টার জন্য মুদি এবং বড়দিনের উপহার কিনতে বাইরে গিয়েছিলেন।’ প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বাড়ির নিচের তলার প্রবেশপথে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আগুন লাগার পর সম্ভবত ওপরের তলার বেডরুমে থাকা শিশুদের জন্য নিরাপদে আবাসন থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।’ বিবিসি বলছে, নিহত পাঁচজনকে ওপরের তলার একই বেডরুমে পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে, আগুন বাড়ির একমাত্র সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে তাদের পালানোর পথ আটকে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন দেখতে পাওয়ার পর প্রতিবেশীরা সেটি নেভানোর চেষ্টা করেন। প্যাট্রিক ও’নিল নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সিবিএস নিউজ কেটিভিকে বলেছেন, ‘আমরা গ্যারেজের দরজা খুলে দিয়েছিলাম, সেখানে লোকেরা জিনিসপত্র বের করছিল। আমরা দরজার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতেই গ্যারেজে ধোঁয়া আসতে শুরু করে এবং লোকজনের দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশীরা জানত না যে, বাড়ির ভেতরে কেউ আছে। যদি তারা জানত, তবে তারা উদ্ধারের চেষ্টা করত। পুলিশ বলছে, আগুনের সময় বাড়িতে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক লোক ছিলেন না।