নিজেদের ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডকে কখনোই তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচল। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুইটিতে হেরে আজ কিউইদের বিপক্ষে লাল-সবুজের দল মাঠে নামে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে। সে লক্ষ্যে টসে জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ৯৮ রানেই অল আউট হয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এরপর ৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখেই দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে নিজেদের উনিশতম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।
কিউইদের দেয়া ৯৯ রানের লক্ষ্যে আজ টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের সূচনা করেন সৌম্য এবং এনামুল হক বিজয়। ১৬ বল খেলে ৪ রান করার পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর ক্রিজে বিজয়ের সঙ্গী হন অধিনায়ক শান্ত। এ দুইজনের ব্যাটেই আজ ইতিহাস গড়া এক বিজয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। বিজয় সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গী হন লিটন দাস। এ দুজন মিলেই পরে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন বাংলাদেশকে।
এর আগে নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমে টসে জিতে কিউইদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক শান্ত। বল হাতে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন বোলাররা। কিউইদের ডেরায় আজ প্রথম আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। চতুর্হ ওভারের শেষ বলেই তরুণ এই পেসারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে মুশফিকের রহিমের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন রাচীন রবীন্দ্র।
কিউইদের দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট তুলে নেয়ার পর দ্রুতই আরও এক উইকেট তুলে নেন সাকিব। অষ্টম ওভারে তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘর ফিরেন হেনরি নিকোলস। ফলে দলীয় ২২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। ৬১ রানেই চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।
দুই টাইগার পেসারের সঙ্গে এরপর উইকেট তুলে নেয়ার উৎসবে যোগ দেন সৌম্য সরকার। শরিফুল এবং সাকিব আরও দুই উইকেট তুলে নেয়ার পর কিউইদের শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সৌম্য। সাজঘরে পাঠান জশ ক্লার্কসন এবং অ্যাডাম মিলনেকে। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল, সৌম্য এবং সাকিব।