Parliament election
নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিনের পথসভার গাড়ি বহরে বাধা দেওয়ার চিত্র ধারণ করায় এক টিভি ক্যামেরাপার্সনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলাকারীরা তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
আহত টিভি ক্যামেরাপার্সন ইমরান হোসেন একুশে টিভি নোয়াখালী প্রতিনিধি আরেফিন শাকিল ও মোহনা টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান শিপনের ক্যামেরা সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের দানা মিয়ার বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীও ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মিরা জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিন কাশেম বাজার থেকে দানা মিয়ার বাজারে গাড়ি বহর নিয়ে পথসভা করতে আসেন। এ সময় বাজারের প্রবেশ পথে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা রাস্তা বন্ধ করে নৌকার স্লোগান দিতে থাকে। এতে স্থানীয় লোকজন নৌকার সমর্থকদের ওপর ক্ষেপে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করায় ক্যামেরাপার্সন ইমরান হোসেনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত আহত করে তার কাছ থেকে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় নৌকার কয়েকজন সমর্থকরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গণমাধ্যম কর্মিরা আহত ক্যামেরাপার্সনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, বিকাল থেকে তিনি নেয়াজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। গণসংযোগ ও পথসভা চলাকালীন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহাদুরের নির্দেশে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। রাত সোয়া ৯টায় দানা মিয়ার বাজারে পথসভা করার জন্য বাজারে প্রবেশকালে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর কর্মি নাজিম উদ্দিন, আজম পাশার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল রাস্তা বন্ধ করে নৌকার স্লোগান দিতে থাকে এবং আমাদের গাড়ি বহর বাজারে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করায় তাদের ওপর হামলা করে একরামের লোকজন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আপনারা ডিসি-এসপি আছে, সেখানে অভিযোগ করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। এ কারণে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।