আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
logo

পেঁপে চাষে বছরে আয় ১৫ লাখ!

papaya


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:১০ এএম

পেঁপে চাষে বছরে আয় ১৫ লাখ!

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের আজিমপুর গ্রামের মোনেম আহমেদ বিপ্লব পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। দীর্ঘ ৮ বছর কৃষিকাজ করে নিজের ভাগ্য বদলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পাশাপাশি ১২ জনের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছেন।

জানা যায়, মোনেম আহমেদ বিপ্লবের কৃষি কাজ শুরু গোলাপের চাষ দিয়ে। গোলাপ চাষে সফলতা না আসায় তিনি পেঁপের চাষ শুরু করেন। তারপর আর তার পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে পেঁপে চাষ করে তিনি বছরে প্রায় ১২-১৫ লাখ টাকা আয় করছেন।

পেঁপে চাষি মোনেম আহমেদ বিপ্লব বলেন, পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে প্রথমে গোলাপের চাষবাদ করি। গোলাপের চাষে কোনো সুফল না পেয়ে পেঁপের চাষ শুরু করি। প্রথম বছর বীজ তেমন ভালো না পাওয়ায় ফলন আসেনি। তবে পরের বছর আমি ভালো মানের পেঁপের বীজ সংগ্রহ এবং চারা উৎপাদন করি।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার ১২ বিঘা জমিতে পেঁপের চাষ করি। পেঁপে চাষে প্রতিবিঘা জমি তৈরি, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মুজরি সব কিছু মিলে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ১৮০-২০০ মণ পেঁপের ফলন পাওয়া যায়। বাজারদর ভালো থাকলে কাঁচা পেঁপে ১২-১৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা যায়। আমার জমিতে পেঁপে চাষে প্রায় ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। পেঁপে বিক্রি করেছি ১৮-২০ লাখ টাকার। এতে সব খরচ বাদে আমার বছরে লাভ থাকে ১৩-১৫ লাখ টাকা।

মোনেম আরো বলেন, আমি পেঁপের পাশাপাশি ৫ বিঘা জমিতে সবজি ও আরো ৫ বিঘা জমির একটি পুকুরে মাছ চাষ করছি। আগামীতে গরুর খামার করারও পরিকল্পনা করছি। সব মিলে এখন আমার এই কৃষি প্রজেক্ট একটি সম্মিলিত কৃষি খামার। অনেকেই আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন। আমি তাদের পরামর্শ ও কৃষি কাজ করতে উৎসাহিত করছি।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁপের চাষ হয় সিংগাইরে। এ অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার কৃষক পেঁপে চাষাবাদ করে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭০০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি।

সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. টিপু সুলতান স্বপন বলেন, সিংগাইর উপজেলার উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়। এখানকার উৎপাদিত সবজির চাহিদাও ব্যাপক। অনেক কৃষক পেঁপে চাষে বেশ সফল হয়েছেন। এক বিঘা পেঁপে বাগান থেকে বছরে প্রায় ৩০০ মণ পেঁপে উৎপাদন করেন একজন কৃষক। কৃষি অফিস থেকে এই লাভজনক ফসল পেঁপে চাষাবাদে তরুণদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছি।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের আজিমপুর গ্রামের মোনেম আহমেদ বিপ্লব পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। দীর্ঘ ৮ বছর কৃষিকাজ করে নিজের ভাগ্য বদলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পাশাপাশি ১২ জনের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছেন।

জানা যায়, মোনেম আহমেদ বিপ্লবের কৃষি কাজ শুরু গোলাপের চাষ দিয়ে। গোলাপ চাষে সফলতা না আসায় তিনি পেঁপের চাষ শুরু করেন। তারপর আর তার পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে পেঁপে চাষ করে তিনি বছরে প্রায় ১২-১৫ লাখ টাকা আয় করছেন।

পেঁপে চাষি মোনেম আহমেদ বিপ্লব বলেন, পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে প্রথমে গোলাপের চাষবাদ করি। গোলাপের চাষে কোনো সুফল না পেয়ে পেঁপের চাষ শুরু করি। প্রথম বছর বীজ তেমন ভালো না পাওয়ায় ফলন আসেনি। তবে পরের বছর আমি ভালো মানের পেঁপের বীজ সংগ্রহ এবং চারা উৎপাদন করি।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার ১২ বিঘা জমিতে পেঁপের চাষ করি। পেঁপে চাষে প্রতিবিঘা জমি তৈরি, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মুজরি সব কিছু মিলে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ১৮০-২০০ মণ পেঁপের ফলন পাওয়া যায়। বাজারদর ভালো থাকলে কাঁচা পেঁপে ১২-১৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা যায়। আমার জমিতে পেঁপে চাষে প্রায় ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। পেঁপে বিক্রি করেছি ১৮-২০ লাখ টাকার। এতে সব খরচ বাদে আমার বছরে লাভ থাকে ১৩-১৫ লাখ টাকা।

মোনেম আরো বলেন, আমি পেঁপের পাশাপাশি ৫ বিঘা জমিতে সবজি ও আরো ৫ বিঘা জমির একটি পুকুরে মাছ চাষ করছি। আগামীতে গরুর খামার করারও পরিকল্পনা করছি। সব মিলে এখন আমার এই কৃষি প্রজেক্ট একটি সম্মিলিত কৃষি খামার। অনেকেই আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন। আমি তাদের পরামর্শ ও কৃষি কাজ করতে উৎসাহিত করছি।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁপের চাষ হয় সিংগাইরে। এ অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার কৃষক পেঁপে চাষাবাদ করে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭০০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি।

সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. টিপু সুলতান স্বপন বলেন, সিংগাইর উপজেলার উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়। এখানকার উৎপাদিত সবজির চাহিদাও ব্যাপক। অনেক কৃষক পেঁপে চাষে বেশ সফল হয়েছেন। এক বিঘা পেঁপে বাগান থেকে বছরে প্রায় ৩০০ মণ পেঁপে উৎপাদন করেন একজন কৃষক। কৃষি অফিস থেকে এই লাভজনক ফসল পেঁপে চাষাবাদে তরুণদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছি।