আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
logo

ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রতিশ্রুতি

Rental power plant


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:৫৮ এএম

ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রতিশ্রুতি

বিজয়ী হলে ভাড়া ভিত্তিক ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ইশতেহারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য আওয়ামী লীগ অঙ্গীকার করেছে। নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা; বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ভাড়াভিত্তিক ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহ বন্ধ (রিটায়ারমেন্ট) করা হবে।

দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করতে আইন পাস করে। এরপর সংসদে আইন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। আইনানুযায়ী উৎপাদনে না গেলেও ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সরকার থেকে নির্ধারিত অর্থ দিতে হয়। যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে দেশে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এ ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।


দলটির ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। নবায়নযোগ্য ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য গ্রিড যুগোপযোগী করা হবে।

নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি এবং এই অঞ্চলে আন্তরাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত করা হবে। সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করা হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

জ্বালানির বিষয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার হচ্ছে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। গ্যাস ও এলপিজি সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও দক্ষ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ইশতেহারে বলা হয়, বিদেশি তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কূপ খনন ও উন্নয়নের চুক্তিতে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখা হবে। গ্যাস মজুতের পরিমাণ নির্ধারণ, নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার, উত্তোলন এবং গ্যাসের যুক্তিসংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।