Parliament election
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
যদি একটা জাল ভোটও হয় প্রিসাইডিং অফিসারের চাকরি থাকবে না। এখন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা আছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ছবি চেক করে তারপর ভোট দিতে দেবে। যাতে কেউ বলতে না পারে- ‘আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে বলেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো টলারেন্স নেই, জিরো টলারেন্স। সততা, স্বচ্ছতা এবং সুন্দর ভোটের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এটার জন্য সহযোগিতা কিন্তু সবার দরকার। প্রার্থীদের দরকার, তারা সহযোগিতা করবেন। আমার সাথে এখানে যারা আছেন সবাই পরীক্ষিত। তারা আমাদের অনেক ইলেকশনে সহযোগিতা করে প্রমাণ করেছেন। তারা সঠিক নির্বাচনের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী হয়ে কাজ করছেন।
সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে আহসান হাবিব খান বলেন, আপনারা যারা আছেন তারা কেন্দ্রের সামনে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। আর আপনারা কেন্দ্র ভাগ করে নেবেন, ভোট দিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসা করবেন ‘মা কেমন ভোট হলো’। মা এসে বলবে- ‘বাবা এত সুন্দর ভোট কখনো দেখি নাই।’ এটা যদি বলে তাহলে ১০০ তে ১০০ প্রচার করেন। আবার যদি বলে- ‘বাবা আমার ভোট কে যেন দিয়ে গেছে, আর ভেতরে কে যেন সিল মারছে শুধু।’ তখন আপনারা প্রচার করেন। যেই হোক, যার ফেভারে হোক সেটা প্রচার করেন।
সেই সৎ সাহস দরকার। আপনাদের এই সহযোগিতা দরকার। এ পর্যন্ত আপনারা সহায়তা করেছেন, সাহায্য দিয়েছেন। কোনো একটা বড় পত্রিকায় (খবর) এসেছিল, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুজন চাকরিচ্যুত হতে যাচ্ছে। আপনাদের মিডিয়ার খবর আমাদের পর্যন্ত আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সকলের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর কাছে, বাংলাদেশের ভোটারদের কাছে , আমাদের নিজেদের মনের মধ্যে, বিবেকের কাছে যেন প্রমাণ করতে পারি এর আগে অতীতে এমন নির্বাচন হয়নি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ও আগামী নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে এই নির্বাচন।