আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
logo

বঞ্চিত মানুষের কথা বলা হয় গণসংগীতে

About deprived people


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩৯ এএম

বঞ্চিত মানুষের কথা বলা হয় গণসংগীতে

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর সভাপতি বদিউর রহমান বলেছেন, গণসংগীতে বলা হয় জগতের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মানুষের কথা। মানুষের মুক্তির কথা, সংগ্রামের কথাও বলা হয় এই সংগীত ধারায়। এই গণসংগীতের মধ্য দিয়ে জাগরণ তৈরি ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া উদীচীর লক্ষ্য।


‘প্রলয় বাজাও গানে সাহস জাগাও প্রাণে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনের একাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব।


গতকাল শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উৎসবের উদ্বোধন করেন উদীচীর উপদেষ্টা লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতি। সেখানেই এসব কথা বলেন বদিউর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন সঙ্গীতা ইমাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা।


উদ্বোধন ঘোষণার পর পর একাদশ উৎসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একজন ঢাকি ও ১০ জন ঢুলি মিলে বাদ্যে চারপাশ মুখরিত করে তোলেন। নানা রঙের আবির ছড়িয়ে দিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দে মাতেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা।


উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় গণসংগীত উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গণসংগীতের প্রচার, প্রসার এবং একে একটি স্বতন্ত্র সংগীতের ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের জন্মদিন ২৮ মার্চ এই উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।


এবার ২৮ মার্চ রমজানে পড়ায় উৎসব এগিয়ে আনা হয়েছে।

উদ্বোধনী ভাষণে উদীচীর উপদেষ্টা লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতি বলেন,  ‘সংগীত একটি শক্তি, একটি অস্ত্র। এটিকে ধারণ করে উদীচী। আমাদের নিজের সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারলে দেশের ক্ষতি হয়ে যাবে।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হওয়া আলোচনা পর্বে উদীচী সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিজন ম. হামিদ, আমন্ত্রিত অতিথি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গণসংগীতশিল্পী কংকন ভট্টাচার্য্য, গণসংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ, উদীচীর সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম, হাবিবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।


সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ বলেন, সাম্যবাদী সমাজ গড়ার কথা এখন ভুলে যাচ্ছে মানুষ, তারা কল্যাণ রাষ্ট্রের কথা বলছে। রাজনীতিতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকেই ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগই আবার মানুষকে শোষণ করতে চান।


প্রবীণ ভারতীয় গণসংগীত শিল্পী কংকন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘পৃথিবীর যেখানেই গণসংগীত বাজে, একে শ্রমজীবী মানুষ শুনলে বুঝবে গানটি তাদেরই।’


উৎসবের প্রথম দিন সন্ধ্যায় মঞ্চে একক গান পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত শিল্পী কংকন ভট্টাচার্য্য, ফকির সিরাজ, কফিল আহমেদ, তানভীর আলম সজীব, সুরাইয়া পারভীন, আবিদা রহমান সেতু ও শিল্পী আকতার। দলীয়ভাবে গণসংগীত পরিবেশন করে ঋষিজ, বহ্নিশিখা, সহজিয়া, ভিন্নধারা এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এর আগে গতকাল সকাল ৯টা থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের গণসংগীত প্রতিযোগিতা।