Excited Shakib
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:২৭ এএম
সাকিব আল হাসান থাকলে অধিনায়কত্বের সুযোগটাই পেতেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই তার হাত ধরে এল ‘ব্যাক টু ব্যাক’ দুই সিরিজে ঐতিহাসিক দুটি জয়। শুরুটা হয়েছিল সিলেট টেস্ট দিয়ে। ঘরের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। নেতৃত্বের অভিষেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছিলেন শান্ত। এবার নেপিয়ারে সেটিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। নিজেদের ওয়াডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়ে ২-১এ সিরিজ শেষ করল টাইগাররা। প্রতিপক্ষকে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে ৪২ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন শান্ত।
‘এই ম্যাচে ছেলেরা যেভাবে খেলছে, সত্যিই গর্বিত। সিরিজের আগে আমরা ভেবেছিলাম, সিরিজটা জিততে পারব, কিন্তু সেটা হয়নি। তবে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার পরও ভেবেছিলাম শেষ ম্যাচে জিততে পারব। প্রথম দুই ম্যাচে না পারলেও আজ (শনিবার) আমরা পেরেছি।’ অবিস্মরণীয় জয়ের পর বলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। নেপিয়ারে ভয়ংকর সুন্দর বোলিং করে পেসাররা পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। কিউইদের ১০ উইকেটের সবই নিয়েছেন তারা। সাকিব ও শরিফুল ইসলামের শিকার ৩টি করে। সমান ৩ উইকেট নিয়েছেন ব্যাটিং-অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। আর তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার ১টি।
‘আমাদের সবাই যেভাবে বোলিং করেছে, যাকে যখন বোলিংয়ে এনেছি, সবাই ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করেছে। অবশ্য শরিফুলের দ্বিতীয় স্পেলের দুই উইকেটে মোমেন্টামটা আমাদের দিকে এসেছে। আমি শুধু একজনকে ক্রেডিট দিতে চাই না। প্রত্যেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই উইকেটে অতিরিক্ত সুবিধা ছিল না, তবে সকালের দিকে পেসাররা কিছুটা হেল্প পেয়েছে।’ তাই বলে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট করে দেয়া, ‘না, এতটা চিন্তা করিনি। আমরা যে জিনিসটা পুরো সিরিজে করেছি, তা হলো প্রসেসটা কী, ওটাই শুধু করার চেষ্টা করেছি।’
এই সাফল্য বুধবার শুরু তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করেন শান্ত। ঐতিহাসিক জয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানজিম সাকিব। ২১ বছর বয়সী ডানহাতি পেসারের বোলিং ফিগার ৭-২-১৪-৩, ‘গত ম্যাচে (দ্বিতীয় ওয়ানডে) আমার বোলিং ছিল এলোমেলো। আজ (শনিবার) আঁটসাঁট বোলিং করার লক্ষ্য ছিল, আমি সেটিই করেছি।’ বলেন সাকিব। তিনি আরও যোগ করেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই খুশি। প্রত্যাশানুযায়ী শুরুটা বেশ ভালো ছিল। আমি সত্যিই বোলিং উপভোগ করেছি। বল ভিতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে মুভ করছিল।
এটা সত্যিই দলের জন্য সুবিধা করে দিয়েছে।’ বোলিংয়ে দারুণ সুইং প্রদর্শন করেছেন তানজিম সাকিব। চতুর্থ ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে (৮) আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থু এনে দেন তিনি। অষ্টম ওভারে হেনরি নিকোলসকে (২২) শিকার করে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান তানজিম। এরপর টম ব্লান্ডলকে (৪) তুলে নিয়ে কিউইদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন, যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।