রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন ব্যক্তির দিকে সন্দেহের তীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে মঙ্গলবার ভোরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ট্রেনের একটি বগি থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের ঘটনাকে নাশকতামূলক কাজ বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পিবিআই। পিবিআই পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রমাণ করে যে এটি একটি নাশকতামূলক কাজ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সন্দেহ করছি যে তিন ব্যক্তি বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনের তিনটি বগিতে উঠেছিলেন তারা পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিতে পারেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আমরা স্পষ্ট বলতে পারব।’ পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ এখন বিমানবন্দর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে এবং কারা সেখান থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এবং তেজগাঁও স্টেশন থেকে কারা নেমেছেন তা জানার চেষ্টা করছে। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার পার্বত আলী জানান, ট্রেনটি গতকাল রাত ১১টার দিকে মোহনগঞ্জ স্টেশন থেকে ছেড়ে ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছায়। তিনি বলেন, ট্রেনটি সরাসরি কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার কথা ছিল এবং এর জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পার্বত বলেন, ভোর ৪টা ৫৮ মিনিটের দিকে তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনের বগি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। ‘আমি তখনই জরুরি সুইচ চালু করে ট্রেন থামিয়ে দিই। লাল বাতি দেখে ট্রেনটি থেমে গেলেও ট্রেন তেজগাঁও রেলগেটে পৌঁছে গেছে সে সময়।’ পার্বত জানান, চ, জ এবং ঝ নং বগিতে আগুন লেগেছে। ‘আমরা স্টেশনে ফায়ার ফাইটিং টুল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং একই সাথে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে ফায়ার সার্ভিসকে জানাই, বলেন তিনি। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনের চাকায় আগুন লেগে গেলেও ট্রেনের বাইরে কোনো আগুন লাগেনি।