১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরী খেতাব জিতে ভারতবাসীর হৃদয় জয় করে নেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অনেক ভারতীয়ের কাছেই তিনি সর্বকালের সেরা মিস ওয়ার্ল্ড। বলিউডের অনেক স্মরণীয় চরিত্রকেও পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছেন তিনি। আজ ৪৮ বছরে পা রেখেছেন এই অভিনেত্রী।
ডাকনাম অ্যাশ। তাঁর জন্ম ১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর। অভিনয়ের জগতে পদার্পণ করার আগে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন।
এএফপি
২ / ২০
ঐশ্বরিয়ার বাবা মাঙ্গলুরুর কৃষ্ণারাজ রাই ও মা বৃন্দা রাই। তাঁর বড় ভাইয়ের নাম আদিত্য রাই। তিনি বাণিজ্যিক জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার। ‘দিল কা রিশতা’ নামে ঐশ্বরিয়ার একটি ছবিরও তিনি সহপ্রযোজক।
৩ / ২০
ছোটবেলাতেই মুম্বাই চলে আসেন তাঁর মা বাবা। সান্তা ক্রুজের আর্যবিদ্যা মন্দির উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ঐশ্বরিয়া। এক বছর চার্চ গেটের জয় হিন্দ কলেজে পড়াশোনা করেন, তারপর মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন।
বিজ্ঞাপন
৪ / ২০
ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্রী। ইচ্ছা ছিল স্থপতি হবেন। স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন। মডেলিংকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন।
৫ / ২০
১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড হন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এর অনেক আগে থেকেই অবশ্য টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের কাজ করতেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম ক্যামলিন পেনসিলের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন তিনি।
৬ / ২০
১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের তামিল ছবি ‘ইরুভার’-এ প্রথম অভিনয় করেন তিনি। ববি দেওলের সঙ্গে ‘...অওর পেয়ার হো গায়া’ ছবি দিয়ে তাঁর বলিউডে অভিষেক।
৭ / ২০
তামিল ছবি ‘জিন্স’-এ প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য। তিনি সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
৮ / ২০
২০০২ সালে বানসালির পরবর্তী ছবি ‘দেবদাস’-এ অভিনয় করেন তিনি। যার জন্য তিনি দ্বিতীয়বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
৯ / ২০
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিল তাঁর কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এরপর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ‘ধুম ২’-তে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ‘গুরু’ এবং ‘যোধা আকবর’-এ অভিনয় করতে দেখা যায়।
১০ / ২০
তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী, কান চলচ্চিত্র উৎসবে যিনি জুরি সদস্য হয়েছেন।
১১ / ২০
নেদারল্যান্ডসের কেউকেনহফ গার্ডেন্সে তাঁর নামে টিউলিপের একটা জাত আছে।
১২ / ২০
অপরাহ্ উইনফ্রে শোতে যাওয়া প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী তিনি। মাদাম তুসোর মিউজিয়ামেও প্রথম ভারতীয় হিসেবে তাঁর মূর্তি তৈরি হয়েছিল।
১৩ / ২০
নিজের সম্পর্কে লেখা বিভিন্ন আর্টিক্যাল সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
১৪ / ২০
২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন অভিনেত্রী।
১৫ / ২০
ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন ঐশ্বরিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোটখাটো জিনিস কেনা তাঁর শখ। যেখানেই যান, বচ্চন পরিবারের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসেন।
১৬ / ২০
ব্যক্তি জীবনে ঐশ্বরিয়া খুব সুশৃঙ্খল মানুষ। মেয়ে আরাধ্যকে খুব একটা প্রকাশ্যে আনেন না। স্বামী, শাশুড়ি জয়া বচ্চন, শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন কীভাবে আরাধ্যর সঙ্গে আচরণ করবেন, তা-ও ঠিক করে দিয়েছেন তিনি! এমনকি তাঁর মেয়েকে সবকিছু কিনেও দেওয়া যায় না।
ইনস্টাগ্রাম
১৭ / ২০
মডেলিং, অভিনয় ছাড়া গানও গাইতে পারেন। তাঁর গানের কণ্ঠও বেশ ভালো। প্রিয় মানুষদের গান শোনানোটাও তাঁর পছন্দ।
১৮ / ২০
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে কথা বলেন না ঐশ্বরিয়া। রোহান সিপ্পির ‘ব্লাফ মাস্টার’-এ ঐশ্বরিয়ার চরিত্রটি নাকি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কেড়ে নেন। তার পর থেকেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব। ছবিতে অভিনয় করছিলেন অভিষেক বচ্চন। এর কয়েক বছর পর ‘রামলীলা’তে ঐশ্বরিয়ার আইটেম গানটিও দখলে নেন প্রিয়াঙ্কা।
১৯ / ২০
‘উমারও জান’-এর শুটিংয়ের সময় একবার রাগে জেপি দত্ত ঐশ্বরিয়ার জন্য বানানো একটি পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটি গানের শুটিংয়ের জন্য ঐশ্বরিয়ার অপেক্ষায় থেকে রাগে কাজটি করেন জেপি দত্ত।
২০ / ২০
জেপি দত্তের ‘উমরাও জান’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময়েই অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুটিংয়ের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুজন উধাও হয়ে যেতেন।