ওসমানীনগর ও জৈন্তাপুরে দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। জৈন্তাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফাতেমা বেগম (৩৮) নামে চার সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে ওসমানীনগরে দুই সন্তানের জননী সালমা বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় জৈন্তাপুরের নিজপাট নয়াবাড়ি গ্রামে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ফাতেমা বেগমের।
তিনি ওই গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসত ঘরের গ্রিল খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাড়ির রান্না ঘরে বিদ্যুতের কাজের জন্য লাইন নেওয়া হয়েছিল। ভুলবশত; লাইনের কাটা অংশ গ্রিলে জড়িয়ে থাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয় তার। জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, জেলার ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব কালনীরচর গ্রামের প্রবাসী আবদুল কাদিরের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সালমা বেগমের (৩২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে বসত ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না প্যাচানো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্বজনরা থানায় খবর দেন।
পরে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
বিকেল ৪টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে বাড়িতে ফিরে ঘরের ভেতরে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে এদিন বিকাল ৩টার দিকে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আলামতে আত্মহত্যা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঘটনার নেপথ্যের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।