জাদুকরি-বার্সেলোনার মেয়েদের ফুটবল দলের অধিনায়ক আলেক্সিয়া পুতেয়াস ম্যাচ শেষে এক শব্দে প্রকাশ করলেন তাঁর অনুভূতি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-৩ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। পুতেয়াসের কাছে সবকিছু তো ভালো লাগবেই, রাতটিকে মনে হবে জাদুকরি। পুতেয়াস অবশ্য এ কারণে রাতটিকে জাদুকরি বলেননি, তাঁর কাছে রাতটিকে জাদুকরি করে তুলেছে কাল ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারিতে আসা দর্শকদের সংখ্যা।
রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠার পর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস
ছবি: রয়টার্স
৯১ হাজার ৫৩৩—ন্যু ক্যাম্পে কাল মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে ছিল রেকর্ড দর্শক উপস্থিতি। মেয়েদের ক্লাব ফুটবল এক ম্যাচে এর চেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতি এর আগে দেখেনি। এর আগে মেয়েদের ক্লাব ফুটবলে কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতি ছিল ৬০ হাজার ৭৩৯। ২০১৯ সালের মার্চে এই দর্শক ছিল ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে। সেই ম্যাচে স্বাগতিক আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা।
মেয়েদের এল ক্লাসিকো কাল শুধু ক্লাব ফুটবলের রেকর্ডই ভাঙেনি, মেয়েদের ফুটবলে দর্শক উপস্থিতির বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে। এর আগে মেয়েদের ফুটবলে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতি ছিল ৯০ হাজার ১৮৫। ১৯৯৯ সালে এই দর্শক হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের রোজবোল স্টেডিয়ামে মেয়েদের বিশ্বকাপে ফাইনালে।
বিজ্ঞাপন
ন্যু ক্যাম্পে ছিল উপচে পড়া দর্শক
ছবি: রয়টার্স
আগে থেকেই এ ম্যাচে সম্ভাব্য দর্শক উপস্থিতি নিয়ে কথা হচ্ছিল। তবে সেই কথার সুর ছিল এ রকম—মেয়েদের ক্লাব ফুটবলে দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড এবারের রিয়াল-বার্সা ম্যাচ ভাঙতে পারবে কি না। এই ম্যাচ যে দর্শক উপস্থিতির বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেলবে, সেটা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেননি। তাই তো ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার ব্যালন ডি’অর জয়ী অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। এটা সত্যই জাদুকরি। ম্যাচ শেষেও যেন সমর্থকেরা বাড়িতে ফিরতে চাইছিল না। আমরা উদ্যাপন করার সময় সমর্থক আর আমাদের সম্পর্কটা টের পেয়েছি।’
ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের হতাশা
ছবি: রয়টার্স
পুতেয়াসের কাছে বেশি ভালো লেগেছে দর্শকদের বড় একটা অংশ নারী ছিলেন বলে। বার্সেলোনার অধিনায়ক বলে চলেন, ‘আমি গ্যালারিতে অনেক নারী দর্শক দেখেছি, শিশুও ছিল অনেক। তাদের চোখে আমি উজ্জ্বল আভা দেখেছি। ইতিহাসের অংশ হতে পারাটা দারুণ এক ব্যাপার।’ পুতেয়াসের সতীর্থ আইতানা বোনমাতিও দর্শক দেখে আপ্লুত, ‘সম্প্রতি আমরা বেশ কিছু ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মতো ব্যাপার ছিল। কিন্তু এটা (রেকর্ড দর্শকের সামনে খেলা) ছিল আরও বিশেষ। পরিপূর্ণ ন্যু ক্যাম্প ও ইতিহাস—অসাধারণ।’