ত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ভোরের রোদের ঝলকানিতে কমেছে শীতের তীব্রতা। গত দুদিন ধরে ১২ এর ঘরে রেকর্ড হচ্ছে তাপমাত্রা। এতে করে শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় জনপদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। সকাল থেকেই নিম্নআয়ের মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফিরছেন কাজে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবারও রেকর্ড হয়েছিল একই তাপমাত্রা। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা গেলেও কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে পূবালী সূর্য। সে আলোয় ছড়াচ্ছে সকালের মিষ্টি রোদ। এতে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের মাঝে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। সকালেই কাজে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে এখন সন্ধ্যা ও রাতেই বেশি ঠান্ডা লাগছে। ভোরে সূর্য উঠে যাওয়ায় রোদে কমতে থাকে শীতের মাত্রা। সকালের মিষ্টি রোদে আগের যে কনকনে শীতের অনুভূতিটা ছিল তা কমেছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে। এরপরে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সে হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে।
ভ্যান শ্রমিক দেলু, বিল্লাল ও আরশেদ আলী জানান, বরাবরের মতো আজও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঠান্ডা কম। তাই সকাল সকাল ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছি। সকালে রোদ ওঠায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে ভাড়া মারতে পারছি। লোকজনও ভ্যানে উঠছে।
এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা বর্তমানে ১২ ঘরে অবস্থান করছে। গতকালের মতো আজও ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। বিশেষ করে হিমালয় বিধৌত এলাকায় এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।