‘মডেল থানার সামনে প্রেম করছে দুই গাড়ি, দেখবে কে?’ প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের
ধানমন্ডি -৬ এলাকার ধানমন্ডি মডেল থানার সামনে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে থাকা দুটি প্রাইভেটকার নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত ব্যক্তি ও ক্রিড়াপ্রেমী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ তিনি তার ফেসবুক লাইভে এসে বলেন – ধানমন্ডি ৬ এর সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার বাসা হল কিংস কনফেকশনারি। এখানে ফুটপাতের মধ্যে দুইটা গাড়ির প্রেম আমি দেখতে পেলাম। প্রেম বলছি একারণে যে, বহুদিন ধরে মেইন রোডের মধ্যে এই গাড়িগুলো প্রেম করতেছে।
গাড়ির দেখিয়ে তিনি বলেন, আপনি চাকা দেখলে বুঝতে পারবেন কতদিন ধরে এরকম একটা রাস্তার মধ্যে গাড়ি দুটো প্রেম করতেছে।
তিনি বলেন – গাড়ি প্রেম করতেছে তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু পেছনে তাকিয়ে দেখেন ধানমন্ডি মডেল থানা। মডেল থানার সামনেই যদি মেইন রাস্তার পাশে এভাবে গাড়ি পড়ে থাকে, পেছেনে আরও অনেক গাড়ি রাস্তা দখল করে আছে। তাহলে আমার কথা হল, মডেল থানার অবস্থা যদি এই হয়, তাদের চোখে যদি এগুলো না পড়ে, তাহলে কোন থানার নজরে পড়বে।
তিনি বলেন – এখন থানার ভেতরে গিয়ে বললে তারা বলবে আমাদের জায়গা নেই। ঢাকা শহরে তো থাকার জায়গা পাওয়া যায় না।
এভাবে থাকার মানে হল যার যেভাবে ইচ্ছা চলো। কোন নিয়ম নীতি নেই।
আমরা যেখানে স্বপ্লউন্নত দেশ থেকে আগামী ছয় বছরের মধ্যে ডেভেলপিং কান্ট্রির হওয়ার দিকে রওনা দিচ্ছি। আমাদের নমুনা যদি এই হয় তাহলে কেমন হবে।!!
সুমন বলেন – একদিকে আমাদের সরকার অনেক উন্নয়ন করে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন। আর আমাদের যারা প্রতিষ্ঠান আছে, বিশেষ করে পুলিশ বলেন, ওয়াসা বলেন, তাদের ব্যাপারে এতো কপ্লেইন সেগুলো যদি সলভ না করেন তাহলে আমাদের পক্ষে তো সলভ করা সম্ভব না। দেশটাকে তো শুধু একজনের পক্ষে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। যদি এভাবে চলতে থাকে- না সিটি কর্পরেশন, না রোড ট্রান্সপোর্ট, বা এখানে যারা ট্রাফিক আছে, তাহলে জবাবদিহির জায়গা কারা? কারা সমাধান করবে এসব।
তিনি বলেন, আমি এখনো ধরতে পারলাম না – মাননীয় ট্রাফিক বিভাগের যারা আছেন তারা কি করেন। ঢাকার ধানমন্ডি মডেল থানার সামনে যদি এইভাবে গাড়ি পড়ে থাকে তাহলে আমি জানি না আমাদের বিচারের জায়গাটা কোথায়!
তিনি জোর দিয়ে বলেন – ঢাকার জন্য একটা ডাম্পিং জায়গা থাকা দরকার।
আপনি একটা রিকশা দাড়াতে দেন না। অথচ বছরের পর বছর, মাসের পর মাস আপনি এখানে গাড়ি ফেলে রাখতেছেন এটা কেউ কিছু বলবেও না কেউ কিছু শুনবেও না। পুলিশের বিরুদ্ধে এখন গিয়ে কমপ্লেইন করলে তো আর ভয়ের বিষয়ও আছে বলেন ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি বলেন – সরকার প্রধানের ওপর সব দায়িত্ব দিয়ে যারা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন তারা বসে বসে এরকম করবেন আর এগুলো আমাদের দেখতে হবে এটা আসলে সহ্য করে নেওয়া যায় না। এবং বেশিদিন সহ্য করা ঠিকও হবে না।
যদি আসলেই দেশপ্রেম বলে কিছু থাকে, তাহলে নিজের জায়গা থেকে যে যার মতো করে সরকারকে সহযোগিতা করেন। তাহলে বাংলাদেশটা বহু দূর আগাবে।