পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিয়েছে চীন। সেই অর্থে দেশটির সেনা কর্মকর্তারা নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন। চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডর (সিপেক) প্রকল্প ঘিরে এই ঘুষ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা।
খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ বিষয়ে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে আমলাদের পক্ষ থেকে। পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া ২৭৮ পাতার ওই অডিট রিপোর্টে চীনা ঘুষের বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন আজ শুক্রবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অডিট রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জানানো হয়েছে যে, সিপেক প্রকল্পকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে দেশের সেনা কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিয়েছে চীন। সব মিলিয়ে ৬২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ নিয়েছেন পাকিস্তানের শীর্ষ সেনা জেনারেল ও কমান্ডাররা। আর চীনের দেওয়া এসব ঘুষের টাকায় আমেরিকা ও ইউরোপে নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি কিনেছেন পাক সেনা অফিসাররা।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম সেলিম বাজওয়া সবচেয়ে বেশি ঘুষ নিয়েছেন। কারণ তার হাত ধরেই সিপেক প্রকল্পের শুরু।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলারের প্রকল্প হলো সিপেক। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে পাক সেনা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশটির বহু আমলাও বিপুল পরিমাণ ঘুষ নিয়েছেন বলে অডিটে বেরিয়ে এসেছে। তবে এসবের কোনো খবর পাক সরকারের কাছে নেই বলে ওই অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্রমশ চীনের হাতের পুতুলে পরিণত হবে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পাকিস্তানকে ২০২৫ সালের মধ্যে হাতের পুতুল পরিণত করার চেষ্টা করছে বেইজিং। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশটিতে চীনের বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে, তেমনই ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগের দিক থেকেও এগিয়ে থাকবে ড্রাগনের দেশ।