ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
ফ্রান্সে রাসূল সা. এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের ঘটনায় ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসাছাত্র, শিক্ষক ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার গণজোয়ারে উত্তাল ঢাকার রাজপথ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ আশপাশের এলাকায় নবীপ্রেমিকদের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। স্লোগানে স্লোগানে লাখ লাখ তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেছেন দূতাবাস ঘেরাও করতে।
বায়তুল মোকাররমে বেলা ১১টা থেকে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শুরু হয়ছে আন্দোলন। দলের একজন নেতা তার বক্তব্যে বলেন, হেফাজতে ইসলাম হারিয়ে যায়নি। হেফাজত ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
এদিকে ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হক দাবি করেছেন হেফজতের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। যাদের যেখানে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে সেখানেই গণআন্দোলন শুরু করতে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে এক মুসলিম শিক্ষার্থী কর্তৃক একজন অসভ্য ইতিহাসের শিক্ষককে হত্যার পর থেকেই উত্তপ্ত ফ্রান্স। ওই ঘটনার পর অন্তত ৫০টি মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ ঘোষণায় মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। ইসলামের প্রতি এমন মানসিকতার জন্য ম্যাক্রোঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। মুসলিম দেশগুলোতে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। জানানো হয় তুমুল প্রতিবাদ।