করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (২০ জুলাই) ফয়সাল আল ইসলামকে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিনের বড় ছেলে।
এর আগে এদিন সন্ধ্যায় এমডি ফয়সালসহ সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবিরের নামে গুলশান থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
মামলার বাকি দুই আসামিকে হাসপাতালটিতে অভিযান চালানোর সময় র্যাব আটক করেছিল।
উল্লেখ্য, রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে সাহাবউদ্দিন মেডিকেলে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান শেষে তারা জানায়, হাসপাতালটি করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিকে করোনা পজিটিভ বলে ভর্তি রেখেছিল এবং মোটা অঙ্কের টাকা বিল করছিল। এছাড়া তাদের হাসপাতালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের অনুমোদনহীন বেশকিছু টেস্টিং কিট পাওয়া গেছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তারা অ্যান্টিবডি করোনা টেস্ট করছিল। অন্যদিকে পিসিআর পরীক্ষার অনুমতি থাকলেও তাদের আরটি-পিসিআর মেশিন ছিল না। তা সত্ত্বেও প্রতিটি করোনা টেস্টের জন্য তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছিল তারা।
র্যাব আরও জানায়, হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারে ১০ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে হাসপাতালটির দুই কর্মকর্তাকে গতকালই আটক করে র্যাব। ফার্মেসিতে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং হাসপাতালটি সিলগালা করার রায় দেওয়া হয়।
তবে সোমবার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, হাসপাতালটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাছাড়া রোগীদের সরাতে হলেও কিছু সময় লাগবে। সে কারণে হাসপাতালটি এখন বন্ধ করা ঠিক হবে না। তাদের কাগজপত্র ঠিক করার জন্য সময় দেওয়া হবে। তবে সেই সময়ের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক না করলে ও অনিয়ম বন্ধ না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।