ক্রমশ গড়িয়ে চলি আমি এক প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর মত,
নিয়মের খোঁয়াড়ে বন্দী জীবন-জরাজীর্ণ দিগভ্রান্ত ভগ্ন আত্মা ।
সূর্যোদয় থেকে মায়াবী সন্ধ্যা উন্মুখ থাকি তোমাকে পাবার আশায়,
উষ্ণ সুখের স্পর্শে ভাসাবো তোমায় অনন্তনীল হৃদয়ের মহাসাগরে।
ঐ রূপের চন্দ্রকলায় মগ্ন আমি আত্মবিসর্জনের প্রতিজ্ঞায় যখন প্রস্তুত,
তুমি রক্তরাগে হেঁয়ালি করে তাকালে বিস্ফারিত নয়নে দুলিয়ে কানের দুল।
সেই থেকে আমি আজও বুঝি না নারীর মন কখন কেমন থাকে,
কোন ফুলে কোন দেবীর অর্চনা-কোন বাঁকে কোন হৃদয় কখন জাগে?
আজ বরষার বৃষ্টি বাদল, বুকের কান্না চোখের জল ঝরে অবিরল,
চেতনার ঐশী জ্যোতি জাগরণের দেবী এখন হাজারো জিজ্ঞাসার উদয়াচল।
বেদনাক্লান্ত অনুভূতিগুলি আপন অস্তিত্বের ডানায় ভর করে চলে সম্মুখে,
সুখের স্মৃতিগুলি শঙ্খচিলের মত উড়ে বেড়ায় মনের খোলা আকাশে।
এতদিন পেরিয়েছি উন্মত্ত যৌবন, ভালোবাসা নামের সুবর্ণ গোলকের আশায়,
জমেছে হৃদয়ে কষ্টের কিছু কালো দাগ, বিবেক কাঁদে অব্যক্ত যন্ত্রণায়।