ভারতের বৃহত্তম বহুজাতিক সংস্থা আদানি গ্রুপ আগামী ১০ বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রিন এনার্জি প্রকল্পে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি সংস্থাটি তাদের বছরের প্রথমার্ধ্বে ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড কর্পোরেট গভর্ন্যান্স) বিষয়ক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ বিবরণীতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্বন নিঃসরণ কমানো (ডিকার্বনাইজেশন) এবং বিশ্বব্যাপী শূন্য কার্বন নিঃসরণের (নেট জিরো) যাত্রায় সহায়তার লক্ষ্য পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগ্রতি অর্জন করেছে বলে জানানো হয়।
২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উদ্দেশ্য রয়েছে ভারতের গ্রিন এনার্জি উৎপাদনে এগিয়ে থাকা এ প্রতিষ্ঠানের। সে ক্ষেত্রে পোর্টফোলিওর ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে আদানি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি এনার্জি সল্যুশন্স, আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড, এসিসি এবং আম্বুজা সিমেন্ট। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নবায়নযোগ্য প্রকল্প হাতে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের কার্যক্রমে বিদ্যুতায়ন করছে এবং জৈব জ্বালানি গ্রহণ করছে। এছাড়া বর্জ্য তাপ পুনরুদ্ধারকে কাজে লাগানো এবং জ্বালানি সংরক্ষণ প্রযুক্তিও স্থাপন করছে এ ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো।
কার্বন নিঃসরণ কমানোর (ডিকার্বনাইজেশন) লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলগত পরিকল্পনাও রয়েছে আদানির। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন গাছ লাগানো এবং হাইড্রোজেনসমৃদ্ধ ফুয়েল সেল ইলেক্ট্রিক ট্রাক (এফসিইটি) উন্নয়নের মতো বিভিন্ন উদ্ভাবনী পাইলট প্রকল্প গ্রহণও এ পরিকল্পনার অংশ। এছাড়াও গুজরাটের পশ্চিম তীরে একটি সম্পূর্ণ সমন্বিত ভ্যালু চেইনের সহায়তায় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গ্রিন হাইড্রোজেন ইকোসিস্টেম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আদানি পোর্টফোলিও।
আদানির ‘নেট জিরো ট্রানজিশন’ রোডম্যাপের লক্ষ্য পূরণের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত গ্রিন হাইড্রোজেন সমাধানের প্রয়োজন হবে। গ্রিন হাইড্রোজেন গ্রহণকে আরও সহজ করতে, আদানির বৃহৎ পরিসরে নবায়নযোগ্য এবং সম্পূর্ণ সমন্বিত উৎপাদন প্রকল্পের একটি ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। যেখানে একই জায়গায় সকল ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিওরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) সক্ষমতার প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে অসাধারণভাবে এসব প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে আদানির অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। এ জ্বালানি রূপান্তর সক্ষমতা অর্জনের জন্য আদানি পোর্টফোলিও এর অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী এক দশকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।