প্রত্যন্ত এ এলাকায় এ স্কুল সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নিতে যে কাজ করে যাচ্ছে তা খুবই আশাজনক। শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাও খুব ভালো লেগেছে। শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম যেন সফল হয় এ কামনা করি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে কেনিয়ার দুই নাগরিক ও শিক্ষক এমনই মন্তব্য করেন। তাঁরা হলেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার সাহিত্য বিষয়ক শিক্ষক ডিকসন কিবেনগো ও তাঁর স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মার্গারেট মিথৌনি। তাঁদের সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই সন্তান থমাস কিবেনগো ও জয়ী কালাম্বা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত তাঁরা আলোর পাঠশালা ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গ্রাম বাবুডাইং ঘুরে দেখেন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতেই শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক দল তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়। এরপর পর্যটক দল বিদ্যালয় ঘুরে দেখেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার গল্প শোনেন তাঁরা। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত বিদ্যালয় সংক্রান্ত খবরগুলো দেখেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের জীবনধারার গল্প শোনেন। জানতে চান পড়ালেখার ব্যাপারে। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান পরিবেশন করে।
পর্যটক দল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বই ও পাজল গেম উপহার দেয়। শেষে তাঁরা গ্রাম পরিদর্শন করে।
পর্যটকদের সঙ্গ দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, সহকারী প্রধান শিক্ষক লুইশ মুর্মু, সিনিয়র শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ, সুদর্শন পাল, নির্মল কোল, বিমল হাঁসদাক্, ইকো অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ নামে একটি পর্যটন সংস্থার সদস্য এ আর মোর্শেদ।