মহাধুমধাম করে বাগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সকল আয়োজনই করা হয়েছিল সুচারুভাবে। এমনকি অতিথিদের খাবারের অয়োজনেও রাখা হয়নি কোনও ত্রুটি।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। খাসির মাংসে নল্লি না পেয়ে বেঁধে যায় হট্টগোল। আর এরই জেরে একপর্যায়ে বিয়ে ভেঙে দেয় বরপক্ষ। এছাড়া এই ঘটনা গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্তও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানায়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদান সম্পন্ন হওয়ার পর খাবার পরিবেশনের সময় আমিষ মেনুর অংশ হিসাবে কনে পক্ষ মাটন অস্থিমজ্জা বা নল্লি পরিবেশন না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তেলেঙ্গানায় বিয়ে বাতিল করেছে বরের পরিবার।
এনডিটিভি বলছে, কনের পরিবার রাজ্যটির নিজামবাদের এবং বরের পরিবার জগতিয়ালের বাসিন্দা। গত নভেম্বর মাসে কনের বাড়িতে তাদের বাগদান হয়েছিল। কিন্তু এর পরপরই তাদের বিয়ে বাতিল হয়ে যায়।
মূলত কনেপক্ষ তাদের পরিবারের সদস্য এবং বরের আত্মীয়সহ অতিথিদের জন্য আমিষ মেনুর ব্যবস্থা করেছিল। তবে খাসির মাংসের নল্লি পরিবেশন করা হচ্ছে না বলে অতিথিরা অভিযোগ করার পর সেখানে মারামারি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজক - কনের পরিবার - যখন নিশ্চিত করে যে, খাবারে নল্লি যোগ করা হয়নি, তখন উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়।
এনডিটিভি বলছে, স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তারা সমস্যার সমাধান করার জন্য বরের পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বরের বাড়ির বক্তব্য, নল্লি পরিবেশন না করে মেয়ের বাড়ির লোকেরা তাদের অসম্মান করেছে।
বরপক্ষের যুক্তি, কনের পরিবার ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কাছ থেকে এই সত্যটি গোপন রেখেছিল। কোনোভাবেই সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায়নি। পুলিশ-সহ সকলেই অবাক হয়ে যান সমস্যার কারণ শুনে।
শেষ পর্যন্ত বরের পরিবার বিয়ে বাতিল ঘোষণা করার পর বাগদানের অনুষ্ঠান শেষ হয়।